Update 01

বাবার ক্যন্সার ধরা পরার পর দাদু বাবা চিকিসা করাতে করাতে আমাদের সব শেষ করে ফেলেছে। দাদুর গারি ছিল চাকরি ছিল সব চলে গেছে শুনেছি আমি তখন অত কিছু তো বুঝতাম না, তবে দাদু ছিল বাবার থেকে অনেক শক্ত সামরথ সে আমি দেখেছি, তবে দাদু এই চিন্তায় একদিন হঠাত দাদুকে আর খুজে পাচ্ছিনা ছেলের চিন্তায় পাগল হয়ে মনে হয় কোথাও চলে গেছে নাকি কি হয়েছে এখনো কোন হদিস পাইনি। এর কিছুদিন পর হঠাত মা চলে গেল। তবে শুনেছি কে যেন আমাদের বাড়ি আসত হয়ত তার সাথে কি ঘুসুর ফুসুর করে কে জানে।। আমাদের আর টাকা পয়সা নেই, মা ইতি মধ্যে কাড় সাথে কথা বলে হয়ত আমি জানিনা, আমাকে আর বাবাকে রেখে কোথায় চলে গেল তার কোন খোজ নেই।

বাবা ক্যান্সারের রুগি তাই আমাকে সংসারের হাল ধরতে হল। তখন কত বয়স আমার এই ১৭ বছর। আমি কাজে যাই বাবার ওষুধ, আমাদের দুজনের খাওয়া দাওয়া সব আমাকে করতে হয়। এইভাবে আমার চলছিল। আমার কোন বন্ধু ছিল না ওই সময় সারাদিন কাজ করতাম রান্না করতাম বাবাকে দেকভাল করতাম এটাই ছিল আমার জীবন। এইভাবে বাবা ৬ বছর বেচে ছিল। এই ৬ বছরে বাবা কোনদিন মায়ের কথা জিজ্ঞেস করেনি আর আমিও বলিনি। বাবা শুধু কাঁদত কিন্তু কিছুই বলত না একদম বিছানা ধরা ছিল।আমি মাকে কোনদিন খুজিনি তাবে দাদু যে কোথায় গেল সে চিন্তা করতাম। কিন্তু বাবা দাদু বা মায়ের কথা কোনদিন কিছু বলেনি। দুই দুটো প্রানি বাড়ি ছাড়া আমি কি করব।

মা দাদুর ব্যাপারে পারার লোকে অনেকেই জিজ্ঞেস করত আমি কোন উত্তর দিতাম না। ওরা অনেক কিছু বলত কিন্তু আমার কোন উত্তর ছিল না। শুনেছি বাবা মা প্রেম করে বিয়ে করেছিল, বাবা মায়ের এই কথা শুনে আমার জীবনে আর প্রেম আসেনি মানে কোনদিন কোন মেয়েকে আমি কিছু বলিনি, কারন বাবা সেবা করতে করতে আমি কেমন যেন মেয়ে হয়ে গেছি। জীবনে কোন সখ আহ্লাদ করতে পারিনি, তবে বাবা সুস্থ থাকতে আমাকে রাজ পুত্র করে রেখেছিল। সাথে ছিল দাদু সেইদিনের কথা মনে পরলে কান্না আসে। বাবা দাদু আমার কোন অভাব রাখেনি তখন আর এখন অভাবের তাড়নায় বাবার চিকিৎসা করাতে পারছিলাম না।

বাবা যেদিন মারা যায় পারার সবাই এসে সৎকার করার জন্য ব্যাতিব্যাস্ত হয়ে ওঠে আমি কি করব বুঝতে পারছিলাম না। যাক হোক সব ব্যবস্থা যখন হয়ে গেছে আমারা বাবা দেহ নিয়ে শশানে যাবো এরমধ্যে এক কাকিমা বলল তোর মা এসেছে। শুনে আমি কি বলব জানিনা কিছু বলতে পারলাম না। একবার দেখলাম মাকে আর কিছুই বললাম না। মন যে ভাল নেই বাবা অসুস্থ হলেও মায়ের থেকে ভালো ছিল। তবে মা একাই এসেছে। যা হোক মায়ের সৎকার করতে চলে গেলাম আমরা। ফিরে এসে দেখি মা বাড়িতেই আছে। মায়ের সাথে কোন কথা বলছি না আমি। আমার মতন যা করা লাগে তাই করছি। মা জিজ্ঞেস করলেও উত্তর দেই না। এভাবে বাবার ১৫ দিনে কয়েকজঙ্কে খাওয়ালাম। টাকা পয়সা যে নেই আর।

সব কাজ মিটে গেলে মাকে বললাম এবার তুমি যাও আর তোমাকে দরকার নেই। না আসলেও হত কেন এলে। আমি তো তোমাকে খবর দেই নাই, বাবাকে ফেলে চলে গেছ যখন কেন এসেছ তুমি। তুমি চলে যাও তোমাকে আমার দরকার নেই। আমি বাবাকে নিয়ে ছিলাম এখন বাবা নেই আমি একা থাকতে পারবো। তোমার মতন মায়ের আমার দরকার নেই। এই বলে মাকে একরকম বের করেই দিলাম। মা কাদতে কাদতে চলে গেল।

আমি এবার আবার কাজে মন দিলাম আগে বাড়ি ফেরার তারা থাকলেও এখন বাবা নেই তবুও বাবার টানে বাড়ি চলে আসি। এখন আর খরচা নেই নিজের খাওয়া দাওয়া ছাড়া। এভাবে প্রায় আরও দুইমাস চলে গেল। কিছু টাকা জমেছে কারন খরচা তো নেই।

একদিন কাজ ছেরে বাড়ির দিকে আসছি দেখি রাস্তায় মা দাঁড়ানো। দেখেই আমার দিকে এগিয়ে এল। আমি দেখে একটু বিরক্ত হলাম। কি আবার কি দরকার বল তাড়াতাড়ি বল।

মা- বাড়ি চল বলছি।

আমি- না ও বাড়ি তোমার না ওখানে তুমি যেতে পারবে না। তোমার কোন অধিকার নেই ও বাড়িতে। তুমি সব কিছু ত্যাগ করে চলে গেছ এখন আর তুমি আমাদের বাড়িতে ঢুক্তে পারবেনা।

মা- তুই তো একটা দিক জানিস অন্য দিকটা জানিস না।

আমি- কি আবার অন্য দিক আমার জানার দরকার নেই তোমার সাথে আমি থাকব না। আমার দাদু বাবা অকালে মারা গেছে তোমার জন্য, দাদু কি না করেছে বাবার আর তোমার জন্য নিজের সব খুইয়েছে তবুও তুমি তাদের এত কষ্ট দিয়ে চলে গেছ। আমি তোমার সাথে থাকবো না এটা পাকা। আর তোমার কোলে ওইটা কে।

মা- কে আবার তোর বোন।

আমি- ওর বাবা কে কোথায় বাড়ি তার।

মা- আছে সব বলব তোকে। তোর দাদুর খবর জানিস কিছু।

আমি- না সে কোথায় চলে গেছে কি করে বলব তার কোন খবর আমার জানা নেই আর জান্তেও চাইনা। ছেলের বিপদে যে বাপ ছেরে চলে যায় তার খোজ নিয়ে আমি কি করব সব তোমরা স্বার্থপর।

মা- সে এখনো বেচে আছে ভালই আছে।

আমি- তুমি জানতে দাদু কোথায় থাকে।

মা- অল্প অল্প জানি সব জানিনা। বাড়ি চল গিয়ে সব তোকে বলব।

আমি- বলেছিনা তোমাকে আর যেতে হবেনা ও বাড়িতে তুমি আর যাবেনা। তোমার যাওয়ার অধিকার তুমি হারিয়েছ, আমি গত ৬ বছর যে কষ্ট করেছি তারপর তোমার আর স্থান হতে পারেনা।

মা- আমি যদি বাড়িতে না যেতে পারি তবে তুমি আসল সত্য কোন দিন জানতে পারবে না। আমাকে বাড়ি যাওয়া দরকার তোমাকে সব সত্য জানতে হবে। সব কিছু জানার পর যদি তুমি আমাকে তারিয়ে দাও তবে আমি মুখ বুঝে চলে যাবো। আমি গরিবের মেয়ে বলে আমার প্রতি এত অন্যায় অত্যাচার হয়েছে তোমাকে না বললে তুমি কোনদিন আমাকে মাপ করবে না কারন আমি তোমাকে ছেরে চলে গিয়েছিলাম। কেন গিয়েছিলাম কি কারনে গিয়ে ছিলাম সেটা তোমার জানা দরকার, এখন বলার সময় এসেছে। আমার হয়ে কেউ কথা বলার ছিল না গরিবের মেয়ে বলে তোমার বাবার কথায় ভুলে আমি এ বাড়িতে চলে এসেছি, বাধা দেওয়ার কেউ ছিল না, মামারা আমাকে তারাতে পারলে বাচে তাই কোন বাধা দেয়নি তোমার বাবার সাথে চলে এসেছি, বাকিটা যদি আমাকে নিয়ে যাও বলব, এই বাচ্চার কি হবে জানি না তবে আমাকে মরে যেতে হবে। এবার তুমি বল আমি কি করব।

আমি- কেন এখানে বলতে পারছ না।

মা- কেন পারবো না তুমি সইতে পারবে সব কথা, আর যদি কেউ জানে তবে তোমার কি হবে আমি সেট ভাবছি। তুমি আমাকে না নিয়ে গেলে আমার গঙ্গায় ঝাপ দিতে হবে কি করে বাচব আমি, আমার যে সব শেষ। এ বাচ্চা তোমাদের বংশের এইটুকু বলতে পারি। তুমি আমার ছেলে তোমাকে কি করে বলব কিন্তু না বললে যে শান্তি পাব না।

আমি- কি এমন কথা যে ঘরে গিয়ে বলতে হবে। দেখ মা তুমি আমার মা হয়ে যে অন্যায় করেছ তাই তোমার সাথে আমার থাকার কোন ইচ্ছে নেই তবুও যখন বলছ চল বাড়ি চল গিয়ে রান্না করে খেতে হবে। বাড়ি যাবে তা কাপড় চোপর কিছু এনেছ।

মা- তুমি রাখ কি না রাখ তাই আনিনি সে পরে দেখা যাবে। চল বাড়ি যাই।

আমি- আচ্ছা এস বলে মাকে নিয়ে বাড়ি গেলাম। ঘর খুলে মাকে বসতে বলে আমি জামা কাপড় ছেরে স্নান করতে যাবো।

মা- তুমি যাও স্নান করে এসে আমি রান্না করি।

আমি- কিছুই বললাম না, মা রান্না ঘরে গেল, আমি পুকুরে স্নান করতে গেলাম। একটু সময় নিয়ে স্নান করলাম, ফিরে এসে দেখি মা রান্না ঘরেই আছে।

মা- আমাকে দেখে বলল প্রেসারে ভাত দিয়েছি আর ডাল চাপিয়েছি ডিম আছে নাকি।

আমি- হ্যা ফ্রিজে আছে।

মা- ভাত হয়ে গেছে তুমি এস আমি ডিম ভেজে তোমাকে খেতে দিচ্ছি।

আমি- কি করে মায়ের প্রতি এত রাগ ছিল তবুও আর কিছু বলতে পারছি না। বাধ্য হয়ে খেতে বসলাম আর মাকে বললাম তুমিও নিয়ে খেতে বস। ও কি খায়।

মা- ভাত খায়।

আমি- ওর বয়স কত।

মা- এই দুই বছর। এই বলে মা ভাত নিয়ে বসল আমরা সবাই মিলে খেলাম। খাওয়া শেষ হতে বলল তুমি যাও আমি সব পরিস্কার করে রেখে আসছি।

আমি- বাইরে বেড়িয়ে দাড়িয়ে আছি। আর ভাবছি এই মা স্বার্থের জন্য আমাকে বাবাকে কি বিপদে ফেলে না চলে গেছিল, বাবা বাঁচল না কিন্তু এখন মাকে দেখতে ইচ্ছে করেনা। আগে কত ভালবাসত কিন্তু কি আর করা যাবে। শত হলে নিজের মা, খুব খারাপ আমার মা নিজের সুখের জন্য আমাকে বাবাকে এইভাবে ফেলে চলে যেতে পারে আমি যখন ভাবতাম অবাক হতাম, আমি তো ওর পেটের ছেলে আমার সাথে এমন করতে পারল। এখন আবার নির্লজ্জের মতন ফিরে এসেছে। আমার বয়স এখন ২২ বছর। বাবার অসুস্থতার জন্য আমার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। কাজে লাগতে হয়েছে। তবে একটা জিনিস বাবার একাউন্টে মাজে মাঝে টাকা ঢুক্ত কে পাঠাত বাবা কোনদিন বলেনি, আর বলবে কি করে বাবার তো গলায় ক্যান্সার ছিল কথা বলতে পারত না, আমাকে সব ইশারায় বলত, আমি সেইভাবে কাজ করতাম। কতকিছু ভাবছি আমি মা না আসলে এত কিছু ভাবনা আমার আসত না। তবে সেশের দিকে আর টাকা আসত না, গেলেই বলত আর টাকা নেই এবং কিছু জমা পরেনি। এই গত দুইমাস ধরে তাতেই বাবার ওষুধ সব কিনতে পারি নাই জার ফলে বাবা মারা গেলেন না হলে আরো কিছুদিন বাচতেন মনে হয়। এরমধ্যে মায়ের গলা।

মা- কাজ শেষ করে আমাকে ডাকল এস ঘরে এস। আমার কাজ শেষ হয়ে গেছে খুব নোংরা করে রেখেছিলে সব পরিস্কার করলাম। কালকে বাসন মাজার বার নিয়ে আসবে খালি মাজলে পরিস্কার হয় না। এত নোংরা বাড়িতে মহিলা না থাকলে যা হয়, এক বছর গেলে একটা বিয়ে করবে বিয়ের বয়স হয়ে গেছে তোমার।

আমি তুমি যা খেল দেখালে আবার বিয়ে এ বাড়ি আর কোন মেয়ে মানুষ ঢুক্তে দেব না বলে ঘরে গেলাম আর বললাম বল কি বলবে। সারাদিন কাজ করে ক্লান্ত এখন ঘুমাতে হবে। কি বলবে বলেছিলে বল। তুমি চলে এসেছ তোমার নতুন স্বামীকে বলে এসেছ তো। সে কি করে তোমরা কোথায় থাকো। চাকরি বাকরি করে নাকি আমার মতন ডেলি লেবার।

মা- আমার কোন স্বামী নেই যে ছিল সে মারা গেছে তোমার বাবা। আমি বিয়ে একবারই করেছি। আমি আর দ্বিত্বীয় বিয়ে করিনি আর বাচ্চার কথা সেটা বলতেই তোমার কাছে আসা, দেখি যদি ভালো বুঝি তোমাকে বলব না হয় মনেই থেকে যাবে।

আমি তবে এতদিন কোথায় ছিলে তুমি, আর খবর পেলে কি করে বাবা মারা গেছে। মা আমি সব খবর পেতাম তোমরা কি করছ।আমি কে দিত খবর তোমাকে।মা তার নাম না হয় না জানলে।

আমি কে বলবে ওই বাড়ির পারুল আসত মাঝে মাঝে আমাদের খোজ নিতে তাছাড়া তো কেউ আসত না।

মা বললাম না তার নাম তোমার জানতে হবেনা। আমি তাকে কথা দিয়েছি তার নাম বলব না। তাই বলতে পারবো না।

আমি লাগবে না তোমার বলা জাও ঘুমিয়ে পর সকালে তুমি চলে যাবে তোমার এখানে থাকতে হবে না।মা জানি তোমার আমার উপর রাগ হওয়া স্বভাবিক কিন্তু আমি যে অপারগ তাই কি করব বল।

আমি তুমি বললে ঘরে এসে সব বলবে তাই তো তোমাকে নিয়ে এলাম এখন তো কিছুই বলছ না। সব কথা এরিয়ে যাচ্ছ। তুমি আসলেই খারাপ একজন মহিলা। তোমাকে মা বলে ডাকতে আমার ঘেন্না করে। নিজের সুখের জন্য অসুস্থ স্বামী আর আমাকে ফেলে চলে গেছ।

মা- আমি বললে তুমি সহ্য করতে পারবে তো। এতদিন যা করেছ সব ভুল হয়ে যাবে তোমার। তাইত বলতে ভয় করে। আমার তো সব গেছে আছ একমাত্র তুমি। আগেই বলেছি তোমার কোন মামা নেই, আমার বাবা মা আগেই মারা গেছে মামা বাড়িতে মানুষ, কষ্ট করে থেকেছি ও বাড়ির সব কাজ করে, আর কাজ করতাম বলে খেতে পেতাম, তোমার বাবা আমাকে পছন্দ করত তাই পালিয়ে তোমার বাবার সাথে বিয়ে করেছি। কিন্তু আমি জানতাম না আমার কপালে ওর থেকেও অনেক বেশী দুঃখ এখানে আছে। মনের দুঃখের কথা কাউকে বলতে পারিনি, তোমাকে বলব সে সাহস আমার হচ্ছে না। তুমি হয়ত আমাকে ভাব ব্যাভিচারীনি, আমি আসলে তাই, কিন্তু কি কারনে আমি হলাম তা তো তুমি জানো না। আমি অনেক আশা নিয়ে তোমার বাবার সাথে এসেছিলাম, ভালই চলছিল আমাদের জীবোন, বিয়ের এক বছরের মাথায় সব উল্টো হয়ে গেল। আমার সব আশা নষ্ট হয়ে গেল। তোমার বাবা কামাই করত না সব বাপের টাকায় ফুটানি করত, তোমার দাদু ছেলের যন্ত্রণা নিলেও পরে মেয়ের কেন নেবে। এই নিয়ে কতদিন অশান্তি হয়েছে তুমি জানোনা, তোমার ঠাকুমা ভালো ছিল আমাকে আগলে রাখত। কিন্তু সে যে চলে গেল তারপর আমার জীবনে কষ্টের দিন শুরু হল।

আমি কি কারনে হল সেটা আমাকে বল। আর না বলতে পারলে আমি ঘুমাতে যাচ্ছি আমার প্যান প্যানানি ভাল লাগেনা। আমি এম্নিতে ঠিক করেছি এখানে আর থাকবো না চলে যাবো অন্য কোথাও, একার জীবন ঠিক চালিয়ে নিতে পারবো। এক জায়গায় কথাও হয়ে গেছে এখানে আর ভাল লাগছে না। তুমি যাও ঘুমাতে যাও কালকে কাজে যেতে হবে। অনেক কাজ আছে গেলে বেশ টাকা কামাই করতে পারবো।

মা- তুমি আমার ছেলে কি করে তোমাকে বলি, এ বাড়ির সব পুরুষ রগচটা কেউ কথা শুনতে চায়না, তুমিও হয়েছ সেরকম। সব রক্তের দোষ।

আমি- একদম বাজে কথা বলবে না, কি বলছ তোমার হুশ আছে তো, আমার বাপ ঠাকুর দা কে নিয়ে কথা বলছ।

মা- আমার হুশ আছে বলেই তো বলছি। আমার বিয়ের পর তোমার ঠাকুমা যতদিন বেচে ছিল সব ঠিক ছিল উনি চলে যাবার পর এ বাড়ি আর বাড়ি ছিল না। এ পারার সবাই বলত আমি খুব সুন্দরী, আর আমার এই সৌন্দর্য হল আমার জীবনের কাল। যেখানে ছিলাম সেখানেও অনেক কথা শুনতে হয়েছে। আমি কোনদিন ভালো থাকতে পারলাম না। আমার এই জীবনে কত কিছু যে ঘটে গেছে তোমাকে সব বলতে পারছিনা। একদিনের জন্য একটু সুস্থ মনে ঘুমাতে পারলাম না।

আমি- না আজকে আর আমি কথা শুনতে পারবো না ঘুমাতে যাবো অনেক ঘুম ঘুম লাগছে আমার চোখে। তুমি এ ঘরে ঘুমিয়ে পরো ওকে নিয়ে আমি যাচ্ছি ঘুমাতে বাকি কথা না হয় কালকে শুনবো। আমি দুঃখীর পেটে জন্মেছি বলেই আমার জীবনে এত দুঃখ, নিজের বাবাকে হাতের উপর মরতে দেখেছি, মা ছেরে চলে গেছে দাদু নিরুদ্দেশ আর কি বলবে তুমি এখন ঘুমাও। তুমি আমার মা তোমাকে ফেল্বো না অনেক রাগ ছিল না আর রাগ করে লাভ নেই তুমি থাকো, তবে একটা কথা না বলে চলে যাবেনা তোমার নাগরের কাছে।

মা- তুই আমাকে এমন কথা বলতে পারলি, কে আমার নাগর।

আমি- দেখ আমার ভালো লাগছে না তাই আর কথা বলতে চাই না। নাগর না থাকলে চলে গেছিলে কেন না বলে। একবার তো ভেবে দেখনি বাবার কি হবে তোমার ছেলের কি হবে কি করে আমি বাচব। এক দুই দিন না পাক্কা ৬ বছর। এখন আসছে গল্প শুনাতে। রাখ তোমার আষাঢ়ের গল্প আমি ঘুমাতে গেলাম বলে চলে এলাম আমার ঘরে, জদিও বাবা বেচে থাকতে আমি বাবার কাছেই থাকতাম দিনের বেলা বাড়ি থাকলে এই ঘরে ঘুমাতাম। দাদুর করা বাড়ি আমাদের, সব গেলেও বাড়ি টা আছে আমাদের। বিছানায় পরে মায়ের কথা গুলো ভাবতে লাগলাম। আমাদের রক্তের দোষ, মায়ের সুন্দরী কত কথা মা বলল কি এমন হয়েছিল কে জানে। দাদু হারিয়ে গেল কয়েক দিনের মধ্যে মাও হারিয়ে গেল। আমি কোন কারন খুজে পাই নি আজ অব্দি। মায়ের যৌবন মায়ের কাল কি কথা বলল মা।

এই কথা ভেবে মায়ের দিকে মনে মনে তাকালাম। সত্যি মা যেমন সুন্দরী তেমন মায়ের ফিগার। মা যখন চলে গেছিলো তার থেকে এখন দেখতে আরো সুন্দর হয়েছে। কোলে বাচ্চা। এই বাচ্চার বাবা কে সেটা আমাকে জানতে হবে। মা আমার সাথে মিথ্যে নাটক করছে কি ওনার উদ্দেশ্য, বাড়ি ঘর হাতিয়ে নেওয়া না অন্য কিছু কিছুই বুঝতে পারছি না। এইসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরলাম।

পরের দিন সকালে কাজে গেলাম অবশ্য মা আমাকে রান্না করে দিয়েছিল। খেতে খেতে মা বলছিল আমি তো কিছুই আনিনি একটা শাড়ী পরে কি থাকা যায় তোর কাছে যদি টাকা থাকে কম দামী একটা শাড়ী যদি নিয়ে আসতি ভাল হত।

আমি বললাম সে বিকেলে দেখা যাবে আগে কাজে যাই। এই বলে কাজে বেড়িয়ে গেলাম। কাজ শেষ করে ভাবলাম মা তো কি করব। বাড়ি ফিরলাম কিছু বাজার করে নিয়ে। মা দেখে খুশী হল হাতে বাজার দেখে। আমি স্নান করে খেয়ে নিলাম। তারপর মাকে বললাম এবার বল কি আনতে হবে। মা একটা শাড়ী, সাথে ছায়া ব্লাউজ আর ওর জন্য একটা গেঞ্জি সেটা ফুটপাত থেকে আনিস তাতেই হবে। দামী দরকার নেই। আমি শাড়ী না হয় আনলাম ব্লাউজের মাপ কি। মানে কত সাইজ। মা আর কত ৩৬ বড় আনিস ৩৮ তো পাওয়া যায়না ওতে টাইত হবে। তবুও পড়তে পারবো। আমি আচ্ছা বলে বাজারে গেলাম দোকানে গিয়ে বললাম শাড়ী আর ছায়া ব্লাউজ নিলাম ৩৮ পেলাম তাই নিয়ে এলাম। দোকানদারকে মায়ের কথা বলতে একটা নিল ব্লাউজ দিল সাথে শাড়ী আর ছায়া দিল। সব মিলিয়ে ৭০০ টাকা নিল। বাচ্চার জন্য এক সেট নিলাম। কার বাচ্চা আমাকে কিনে দিতে হচ্ছে। এইসব নিয়ে বাড়ি ফিরলাম রাত ৮ টা বাজে গিয়ে হাতে দিলাম দেখ ৩৮ সাইজ পেয়েছি হয় কিনা এই বলে মায়ের হাতে দিয়ে ঘরে গেলাম।

মিনিট ১৫ পরে মা আমাকে ডাকল আর বলল না সব মাপের আছে একদম ফিট হয়েছে। বলে আঁচল ফেলে আমাকে দেখাল। মনে মনে ভাবলাম একদম লজ্জা নেই নিজের ছেলেকে অমন করে কেউ দেখায়, দুধ দুটো একদম খাঁড়া হয়ে আছে দুধের বোটা দেখা যাচ্ছে ভেতরে ব্রা নেই। এখন এই দুইটা দিয়ে অনেকদিন চলে যাবে বলে আঁচল তুলে বুক ঢেকে নিল। কত টাকা লেগেছে রে। আমি ৭০০ টাকা। মা তোর অনেক টাকা খরচা হয়ে গেল। ওর গায়েও ঠিক আছে বুদ্ধি করে অর জন্য প্যান্ট দুটো এনেছিস। যা বাজার এনেছিস রাতের জন্য রান্না করব। আমি পারলে কর। মা আচ্ছা আমি রান্না করি তাহলে। এই বলে রান্না ঘরে চলে গেল। আমি বিছানায় শুয়ে পড়লাম। আমি ভাবতে লাগলাম আমি কি সেই ছোট আছি যে আমার সামনে অমন করে শাড়ী নামিয়ে দেখাল, আগে আমার সামনে বসে কাপড় পালটাতো এখনো তাই ভাবে, বাবার অসুস্থতার কারনে কারো সাথে মেশা হয়নি আর সময় পাইনি। কিন্তু যেখানে কাজে যাই ওখানে এক কাকিমা আছে একদম মায়ের মতন আমার সাথে হেসে কথা বলে অনেক কিছু জিজ্ঞেস করে প্রেম করি কিনা, কিন্তু আমি ওনাকে আমার সমস্যার কথা বলতে আর ইয়ার্কি করে না আমাকে ভালবাসে। আমাকে অনেক উতসাহ দেয় কামাই করে বড় হতে হবে তোকে। ওনার সাথে মায়ের অনেক মিল আছে একই রকম ফিগার আর রঙও। ওনার পাছা যেমন ঠিক মায়ের পাছাও তেমন খুব বড় বড়। আবার ভাবলাম ধুস আমি কি ভাবছি নিজের মায়ের সাথে অন্যের তুলনা করা ঠীক না। নিজের মাকে নিয়ে বাজে ভাবা ঠিক না। এইসব ভাবতে ভাবতে কখন ঘুমিয়ে গেছি মনে নেই। ওই কাকিমা মনে হয় আমার সাথে একটু ঘনিষ্ঠ হতে চাইত, বিধবা মহিলা, আমি পাত্তা দেই নাই। তবে ওনাকে দেখলে আমার ভালো লাগত আর তখন থেকে একটু বয়স্ক মহিলা বড় পাছা, বড় বড় দুধ দেখলে আমার লিঙ্গ খাঁড়া হয়ে যেত, কাকিমাকে ভেবে অনেকবার মাল ফেলেছি কিন্তু কাছে যাইনি বা সেই সুযোগ আমি নেইনি। তবে তখন থেকে বয়স্ক মহিলা আমার প্রিয় ছিল। আজকে মায়ের ওইরকম দুধ দেখে মিনিটের মধ্যে আমার লিঙ্গটা তিড়িং তিড়িং করে লাফিয়ে উঠেছিল। তবে মা ভেবে সব শান্ত করে রেখেছি, সবাইকে নিয়ে ভাব্লেও নিজের মাকে নিয়ে ভাবা যায়না।

ঘুম ভাংল মায়ের ডাকে। উঠে দেখি রাত সারে ১০শ টা বাজে। আমি উঠে হাত মুখ ধুয়ে এলাম। মা খাবার রেডি করেছে এই দুই দিনে নবাব হয়ে গেছি রান্না করা লাগছে না। মায়ের হাতের রান্না খাচ্ছি। খেতে বসলাম আর মাকে বললাম তোমার বাচ্চা কই। মা ঘুমিয়ে গেছে আর আমার বাচ্চা বলছিস কেন তোর তো বোন হয়। আমি বাজে কথা বলবে না ৬ বছর আমাদের কাছে তুমি ছিলে না আমার বোন হল কি করে আমি কি এখন বাচ্চা আছি নাকি আমি সব বুঝি ওইসব সম্পর্ক ফলাতে আসবে না আমার সাথে। ছোট বাচ্চা আমার শত্রু না কিন্তু সম্পর্ক নেই আমার এইটা বলতে পারি। গেছ তো ৬ বছর তো এত ছোট কেন বাচ্চা। মা ওর আগে আরেকজন হয়েছিল সে মারা গেছে বেচে থাকলে এখন ৫ বছর বয়স হত। আমি তাই বল। তবে এটা দ্বিতীয় তাইতো। মা হুম। এইসব বলতে বলতে খাওয়া শেষ হয়ে গেল। আমি উঠে চলে এলাম। মায়ের সাথে আর কথা বললাম না। সোজা ঘরে চলে এলাম। আর ভাব্লাম পারার লোকে জিজ্ঞেস করলে কি বলব ও আমার কি হয়। বাবা ছিল এক রকম সবাই সহানুভুতি দেখাত। কিন্তু এখন না কি করে ওনাকে নিয়ে থাকবো আমি বাচ্চা না থাকতো তবে একটা কথা ছিল আমি লোককে কি জবাব দেব। এইসব ভাবছি এরমধ্যে মা সব গুছিয়ে রেখে আমার ঘরে এল আর বলল কিরে আবার ঘুমিয়ে পরলি নাকি। আমি না এত তাড়াতাড়ি ঘুম আসবে না অনেক ঘুমিয়েছি। মা আমি বসব এখানে। আমি বস কি কিছু বলবে আমাকে। মা হুম। তুই ওকে নিয়ে খুব বিড়ম্বনায় আছিস তাই না। আমি একদম ঠিক এখনো কেউ জানেনা তুমি এখানে আছ জানলে কি বলবে আমি তাদের কি উত্তর দেব। আমার ওর সাথে কি সম্পর্ক। এম্নিতে তো সব গেছে তারপর বেচে ছিলাম কিন্তু এখন আবার কে কি বলবে। আমার আর ভাল লাগেনা আমার জীবন টা এমন কেন তুমি বলতে পারো, ভেবেছিলাম এবার আমি শান্তিতে বাচতে পারবো সে আর হবেনা, কি করে এখানে তোমাকে নিয়ে থাকবো। তুমি চলে যাও এখান থেকে আমাকে বাচতে দাও। আমি তোমার পেছনের ঘটনা জানতে চাইনা। মা আমি জানি তুমি আমাকে নিয়ে খুব চিন্তা কর সমাজের ভয়তে। কিন্তু আমি কি করব কোথায় যাবো, আমি যে পরিস্থিতির স্বীকার আমার মরা ছাড়া উপায় নেই। আমার যে সব দরজা বন্ধ কি করে বাচব আমি, তুমি বলে দাও এই বাচ্চা নিয়ে। আমি বা বাবা তো তোমাকে চলে যেতে বলিনি তুমি নিজের স্বার্থে চলে গেছিলে। ফিরে আসলে কেন আমরা তোমাকে খুজতে যাইনি বা ফিরিয়েও আনিনি। কি দরকার ছিল আসার। এসেছ যখন সত্যি কথা তো বলছ না। কি হয়েছিল কি কারনে গেছিলে বললে বাড়ি এসে বলবে তাও বললে না। বাবার কারনে তো আমাদের সব শেষ কি আছে আমাদের এই বাড়ি ছাড়া।

মা আছে আরো কিছু সম্পত্তি আছে তুমি জানো না আমি জানি। আমি কি বললে আর কি সম্পত্তি আছে আমাদের। মা আছে গ্রামে বাগান বাড়ি আছে তোমার দাদু কিনে রেখেছে। তোমার দাদু পেনশন পায় তাই দিয়ে তার চলে। আমি তারমানে। তুমি সব জানতে। মা হ্যা আমি সব জানি এমন কি তোমার বাবাও জানত, তোমাকে কিছু বলেনি। দাদু চলে জাবার পর না তা নয় তুমি চলে জাবার পর বাবা আর কথা বলেনি। বলতে পারত না। কি করে আমাকে বলবে। তুমি চেন সেই বাড়ি। মা হ্যা চিনি ওখানেই আমি থাকতাম। তুমি চলে গেলে কেন। মা সে অনেক কথা। সেই কথা বলব বলেই তো আসা। কিন্তু কি করে বলব। তুমি আমার একমাত্র ছেলে আমার উপর দিয়ে কি বয়ে গেছে তোমাকে সে কথা আমি বলতে পারবো না। আমি ছিলাম অপারগ আমার আর কোন পথা ছিল না। বাধ্য হয়ে আমাকে চলে যেতে হয়েছিল। তুমি একবার গ্রামের বাড়ি চল দেখে আসবে তোমাদের বাড়ি। ওই বাড়ির মালিক এখন তুমি। তোমার দাদু উইল করে রেখে গেছে তোমার নামে। কবে যাবে বল তুমি। এই বাড়ি বিক্রি করে ওখানে চল ওখানে কেউ কিছু বলার নেই, এই বাড়ি বিক্রি করলে যে টাকা পাবে ওখানে একটা ব্যবসা করবে আমরা থাকতে পারবো। মায়ের কথা শুনে মনে একটু ভরসা পেলাম। আমি ঠিক আছে কালকে কাজে যাই ফিরে এসে বলব কবে যেতে পারবো যাও তুমি এখন ঘুমাও। মা ঠিক আছে সকালে রান্না করব তো। আমি হ্যা। মা চাল কিন্তু বেশী নেই কালকে আনতে হবে। কাল সকাল দুপুর হবে বিকেলে লাগবে। আমি আচ্ছা নিয়ে আসবো আসার সময়।

সকালে আমার ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেল, মায়ের ডাকে ঘুম ভাংল। আমি সাধারনত লুঙ্গি পরে ঘুমাই গরম কাল লুঙ্গি এলোমেলো হয়ে গেছিল মানে আমার লুঙ্গি ঠিক ছিল না, আর সকাল বেলা আমার পুরুষাঙ্গ দাড়িয়ে থাকে, মায়ের ডাকে ঘুম ভাঙ্গতে আমি লজ্জায় পরে গেলাম, ইস মা দেখে ফেলেছে আমার খাঁড়া লিঙ্গ। ইস কি লজ্জা কেন যে দরজা বন্ধ করে ঘুমাই নি। মা চলে যেতে আমি ভাব্লাম কি হল ব্যাপারটা লজ্জা করে মায়ের সামনে যেতে। এমনিতে আমি জানি নরমাল থাকলে কিছু না কিন্তু দাড়িয়ে থাকলে খুব বড় হয় বা হাতের এক বিগদা আমার টা। মা দেখে কি ভাবল। যাক যা হোক উঠে আমি পায়খানা বাথ্রুম করে একবারে স্নান করে আসলাম মা খেতে দিল। খেয়ে কাজে চলে গেলাম। বিকেলে আসার সময় চাল আর বাজার নিয়ে এলাম। গরমে খুব কস্ট হয়ে যায় তাই আবার স্নান করব বলতে মা বলল তাড়াতাড়ি তবে করে নাও সেই সকালে খেয়েছ। এই নাও গামছা স্নান করে আস। পুকুরে যাবে তো। আমি হ্যা বলে গামছা নিয়ে পুকুরে গেলাম। স্নান করে গামছা পরে বাড়িতে আসলাম। লুঙ্গি পরে খেতে বসলাম। মা খেতে দিচ্ছিল। আমি নিচে বসা মা দাড়িয়ে নিচু হয়ে আমাকে খেতে দিচ্ছিল ফলে মায়ের আঁচল সরে গিয়ে দুধ দুটো আমার চোখের সামনে ব্লাউজ ঠেলে বেড়িয়ে আসছে কি বড় আর কি সুন্দর ফর্সা দুধ দুটো মায়ের দেখে আমি চোখ সরাতে পারছিলাম না। মা নিচু হয়ে দিতে দিতে বলল নাও খেয়ে নাও। আমি খাচ্ছি মা উঠে আবার রান্না ঘরের দিকে যাচ্ছিল, মায়ের বড় বড় পাছা দেখলাম, শাড়ী পাছার খাজের ভেতর ঢুকে আছে তাই পাছা দুটো ভালই বোঝা যাচ্ছে। দুধ দুটো দেখার পরে আবার পাছা দেখলাম উ কি যে হচ্ছে আমার ভেতরে কি বলব দেখেই আমার বাঁড়া টন টন করে উঠল। মা চলে যেতে আমি খেতে লাগলাম। মা ফিরে এসে আমার তরকারি দিতে গেল তখনো মায়ের আঁচল পরে গেল আর দুধ দুটো আমার সামনে ভেসে উঠল। চোখ সরাতে পারছিন সেই নীল ব্লাউজ পরা, মায়ের সুঢোল দুধ দুটো আমি দেখতে পাচ্ছি কিন্তু আঁচল তুলছে না। মা কি তবে ইচ্ছে করে আমাকে দেখাচ্ছে নাকি কে জানে। মা আমাকে তরকারী দিয়ে দারানোর সময় এমন ভাবে আঁচল টানল যে পেটটা দেখতে পেলাম গভির নাভি মায়ের তবে চর্বি কম।মা বলল পেট ভরে খাও কত কষ্ট কর তুমি আমি জল নিয়ে আসি বলে ফিরে পাছা থেকে কাপড় টেনে আমার সামনে বের করল আর পাচ্ছা এক্টূ চুল্কে নিল থল থল করে কাপছে পাছার কান্তা দুটো, উ কি লোভনীয় পাছা মায়ের।এইরকম মাকে দেখে আমার মুখে আর ভাত উঠছে না দেহের মধ্যে আগুন জ্বলছে এইভাবে দেখালে ঠিক থাকা যায় তাই কষ্ট করে তাড়াতাড়ি খেয়ে উঠলাম। আমার মা যে রহস্যময়ী সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই কেন মা এমন করছে, বুঝতে পারছিনা। সত্যি একজন রহস্যময়ী নারী।আমি উঠে বললাম তোমার মেয়ে খেয়েছে। মা হ্যা ওকে আগের ভাত খাইয়ে শুয়ে দিয়েছি। আমি তবে তুমি খেয়ে নাও আমি দাঁড়াচ্ছি। মা আচ্ছা বলে খেতে বসল। আমি মা কতদিন আমিষ খাই না কালকে এক্তু মাংস আনবো রান্না করে দেবে এখন তো খাওয়া যাবে। মা হ্যা এন আমি ভালো করে রান্না করে দেব পেটে খেলে পিঠে সয় বুঝলে। আমি সত্যি মা তোমাকে এই শাড়িতে বেশ সুন্দর লাগছে, দামে কম হলেও বেশ ভালই। এরপরে আরো কিনে দেব, একটা শাড়িতে হয় নাকি। মা আমার বাবা বড় হয়ে গেছে মায়ের কষ্ট বোঝে। আমি তা ঠিক কিন্তু মা আমাকে এমন বিপদে ফেলে চলে গেছিলো সে কথা ভাবলেই আমার কান্না আসে মনে হয় সব ছেরে দিয়ে কোথাও চলে যাই। মা, বাবা আমি ইচ্ছে করে এই ভুল করিনি আমি পরিস্থির স্বীকার হয়েছিলাম, তোমাকে এখনো সে কথা বলতে পারিনি, যদি আমার সাথে যাও তবে বুঝতে পারবে কেন আমি গিয়েছিলাম কি কারনে গিয়েছিলাম। ও আমি বলেছিলাম না যাওয়ার কথা কালকে যেতে পারবে। আমি কোথায় যাবো সে জায়গা তো বলনি। মা আছে গেলেই বুঝতে পারবে চলনা আমার সাথে। মা আচ্ছা আমি মালিককে বলেছি কালকে যেতে পারবো। মা সত্যি যাবে অখানে না খুব ভাল জায়গা একদম কোলাহল নেই গ্রাম তো আর তোমাদের বাড়ি খুব ভাল জায়গায় গেলে ভালো লাগবে। আমি আমাদের কেন তোমার নয়। মা চোখের জল মুছতে মুছতে বলল আমার যে কি আছে আমি নিজেই জানিনা, এই শরীর টা ছাড়া আমার কিছু নেই, সারজীবন পর গাছার মতন এ গাছ তো ও গাছ ধরে বেচে আছি। আমি ঠিক আছে আর কান্না করতে হবেনা আমি তো আছি অত ভাবনা কিসের, আমি সুস্থ থাকলে কোন অভাব হবেনা আমাদের।​
Next page: Update 02